ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ , ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শিশুশ্রমে আরও ১২ লাখ শিশু, চারজনে এক শিশুর রক্তে সীসা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় টেকসই সমাধানের তাগিদ সব পক্ষের ইসি কারো হয়ে কাজ করবে না: সিইসি নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক সমস্যা আছে তবে সম্ভাবনাও রয়েছে-অর্থ উপদেষ্টা সব সরকারি ভবন পরিবেশবান্ধব ‘গ্রিন বিল্ডিং’ করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বড় রদবদল পাঁচ ব্যাংক ধ্বংসে দায়ী পরিচালক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ অতীতের মতো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন জনগণ মানবে না শেখ হাসিনার রায় ঘিরে মাঠে থাকবে জামায়াতসহ ৮ দল সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু, আহত ১৬ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণা নিয়ে ফের নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য পাঁয়তারা চলছে-মির্জা ফখরুল রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি প্রশাসনে বইছে ভোটের হাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল রায় যা-ই দিক, তা কার্যকর হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনার রায় আজ সরাসরি দেখবে গোটা বিশ্ব সংসদ নির্বাচন ঘিরে বইছে উচ্ছ্বাসের জোয়ার দাবি পূরণের আশ্বাসে বিচারকদের কলম বিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধসহ ১০ দাবি কোয়াবের

সংসদ নির্বাচন ঘিরে বইছে উচ্ছ্বাসের জোয়ার

  • আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৫ ০৫:১৪:৫৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৫ ০৫:১৯:৪৭ অপরাহ্ন
সংসদ নির্বাচন ঘিরে বইছে উচ্ছ্বাসের জোয়ার
* গণভোট ইস্যু নিয়ে এখনো চলছে জামায়াতের হাঙ্কি-পাঙ্কি * গণভোট নিয়ে গোলকধাঁধা দলগুলোর দ্বন্দ্ব ও মতভেদ * ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের ফুলের শুভেচ্ছা ও সেøাগানে সেøাগানে মুখরিত * নির্বাচনী এলাকায় লিফটলেট বিতরণ ও কুশল বিনিময় করছেন প্রার্থীরা * সংসদীয় আসনগুলোতে চলছে প্রার্থীদের নির্বাচনী মিছিল ও শোডাউন * ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বইছে উচ্ছ্বাসের জোয়ার সফিকুল ইসলাম গণভোট নিয়ে গোলকধাঁধা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বন্দ্ব, মতভেদ-বিভেদের মধ্যেই দেশজুড়ে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, সিপিবি, গণঅধিকার পরিষদ ও গণতন্ত্র মঞ্চসহ সব রাজনৈতিক দল শুধু নির্বাচনমুখীই নয়, ভোটের মাঠে দৃশ্যমান সরব। নির্বাচন করার সুযোগ পাবে কি-না সংশয় থাকার পরও জাতীয় পার্টিও নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে গেছে। এক কথায় বলতে গেলে সারাদেশে নির্বাচনী ট্রেন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে গ্রামের হাট-বাজার থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল এবং চরাঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। পোস্টারে-পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে না, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বার্তার পরও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ অনুসারী আইনজীবী, চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বাড়িয়ে দিয়েছেন জনসংযোগ। এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সারা দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারসংশ্লিষ্ট সবাই দিনরাত কাজ করছেন। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশজুড়ে এখন নির্বাচনের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ করছি। সরেজমিনে দেখা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ত্রয়োদশ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরে-সোরে প্রচারণায় নেমেছে বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। এরই মধ্যে স্ব স্ব দল ঘোষিত প্রার্থীরা নিজ নিজ সংসদীয় আসনে ভোটারদের দৃষ্টি কাড়তে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। কেউ শোভাযাত্রা, মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর নিয়ে করছেন শোডাউন। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে একই দৃশ্য প্রতিদিন চোখে পড়ছে। গতকাল রোববার বেশ কয়েকটি সংসদীয় আসনে প্রার্থীরা নির্বাচনী মিছিল শোডাউন করেছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার শঙ্কা প্রকাশ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ইস্যুতে ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা হলেও সম্ভাব্য প্রার্থী ও সাধারণ মানুষ ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন। গত ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হবে’ বার্তার পর নির্বাচনী ট্রেন যেন দ্রুত বেগে চলতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে নিজেদের পক্ষে জনমত গঠন এবং বাড়তি সুবিধা আদায়ে কৌশল করছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে জামায়াতসহ আটটি দল ‘আন্দোলন আন্দোলন খেলা’ করলেও কার্যত এগুলো দলটির নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা আদায়ের কৌশল। জামায়াতের শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নির্বাচন ইস্যুতে আন্দোলনের কথা বললেও ৩০০ আসনে ঘোষিত দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী ও দলের স্থানীয় নেতারা পিছিয়ে নেই নির্বাচনী প্রচারে। নির্বাচন কমিশন (ইসি)ও জোরদার করেছে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি। তবে ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশজুড়ে ভোটারদেরে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইছেন প্রার্থীরা। সর্বশেষ নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তানভীর আহমেদ রবিন। এরই অংশ হিসেবে রোববার কদমতলী থানার ৫৩ নম্বর ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ করেন তিনি। এদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনি ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তা ও প্রতিটি অলিগলি ঘুরে বেরিয়েছেন। এ সময় আসন্ন নির্বাচনের জন্য ভোটার ও সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া চান। ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন। এ সময় সেøাগানে সেøাগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। এ ছাড়া তিনি এই ওয়ার্ডের আলমবাগ, খন্দকার রোড, জুরাইন মুন্সি বাড়ি এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন এবং সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন। ধানের শীষের মনোনীত এ প্রার্থীর সঙ্গে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য জাফর আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও মহানগর বিএনপির সদস্য মোজাম্মেল হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামান আহমেদ পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক হুসেন মাস্টার এবং মহানগর ওয়ার্ডের অন্যান্য নেতা। এরপর বিকেলে তিনি ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ চালান। এ ওয়ার্ডের জুরাইন, ঋষি পাড়া, মিষ্টির দোকান, কমিশনার রোড হয়ে চেয়ারম্যান বাড়ি গিয়ে তার গণসংযোগ শেষ হয়। এ ওয়ার্ডেও তিনি তিন সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য জাফর আহমেদ, থানা বিএনপির আহ্বায়ক আবু নাসের ফকির, থানা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মেরাজুল ইসলাম বাবুল, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর খান লিপু। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ঢাকা-৭ আসনের এমপি প্রার্থী হাফেজ হাজী মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ রাজধানীর নাজিরা বাজার ও মালিটোলায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ করেন। রোববার বিকালে তিনি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারী ও পথচারীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বংশাল পূর্ব থানা আমীর মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন, বংশাল উত্তর থানা আমীর মাহবুব হোসেন, চকবাজার দক্ষিণ থানা আমীর আনিসুর রহমান সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিট দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ স্থানীদের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর লিফলেট বিতরণ করে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে সমর্থন কামনা করেন। গতকাল রোববার দুপুরে নরসিংদী-১ (সদর) আসনের করিমপুর বাজার এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় ধারাবাহিক গণসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন। করিমপুর বাজার এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী, সাধারণ ভোটার ও পথচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। গণসংযোগে জেলা বিএনপি, শহর বিএনপি, করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির ভোট চেয়ে রোববার রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় স্থানীয় বিএনপি’র উদ্যোগে মতবিনিময় সভা ও গণসংযোগ করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ নং রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। এ সময় দীপেন দেওয়ান দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। একইদিন দুপুরে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা নেত্রকোণা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) এলাকায় প্রচারণায় নামেন বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আবারও প্রচারণায় নেমেছেন তিনি। এ সময় তিনি স্থানীয়দের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ করেন। এর আগে সকালে বাঁশরী মেহেরুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এছাড়াও বারইবাজার, খাগুরিয়া, খেরজানি বাজার, কাইটাল ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ করেন। ভাটি বাংলার নেতা লুৎফুজ্জামান বাবরকে পেয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এই সময় তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় সহ ২৬ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীর্ষ প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারো হাওড়-পারে মানুষের সেবা করার জন্য সুযোগ চান। গত চার দিন মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীদের আয়োজিত জনসভায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়ে আবারও নির্বাচন করতে পারব কখনো ভাবিনি। এজন্য মহান আল্লাহতাআলার কাছে শুকরিয়া জানাই। পাশাপাশি আমার দল, আমার নেত্রী খালেদা জিয়া ও নেতা তারেক রহমানের কাছেও শুকরিয়া আদায় করছি। আবারও এই ভাটি বাংলার মানুষের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। শনিবার দুপুরে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা-২ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী আমান উল্লাহ্ আমান। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ঘোষিত গণভোট ও সংসদ নির্বাচনে আমাদের দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে। আমান উল্লাহ্ আমান বলেন, বিএনপির প্রতি যে সমর্থন আজকে এই আমিনবাজারের জনগণ প্রমাণ করেছে, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন একই দিনে গণভোট এবং সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন হবে আগামী ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে। সেই নির্বাচনে আল্লাহর রহমতে জনগণের সমর্থন নিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ্। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী জেলার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে হাতপাখা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি ইসমাঈল সিরাজী। শনিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত এই প্রার্থী ফতুল্লা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন, লিফলেট বিতরণ করেন এবং সমর্থন প্রার্থনা করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের এই মুহূর্তের প্রধান চাহিদা একটি উৎসবমুখর নির্বাচন। বাংলাদেশের মানুষ এখন সেই অপেক্ষায় আছে, অন্য কোনো ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই, দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেই। ঢাবির একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের আগে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। দলটির প্রার্থীরা সবার আগে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। তারপরও গণভোট ইস্যুতে জামায়াত হাঙ্কিপাঙ্কি করছে। কারণ হচ্ছে, পর্দার আড়ালে বিএনপির সঙ্গে ‘আসন সমঝোতা’। সোশ্যাল মিডিয়ায় জামায়াতের ব্যাপক প্রচারণা এবং জনসমর্থন প্রচার করা হলেও মাঠের চিত্র একেবারে ভিন্ন। যার জন্য জামায়াত ‘বলাকা’ কবিতার মতো পর্দার আড়ালে আসন সমঝোতা সুবিধা চায়। কারণ প্রচারণা ব্যাপক কলেবরে হলেও জনসমর্থনের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে স্বাধীনতা-বিরোধিতা করা রাজনৈতিক শক্তি জামায়াত। এরশাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে ’৮৬-এর নির্বাচনে জামায়াত ১০টি আসন পেয়েছিল। ’৯১ সালে বিএনপির অনুকম্পায় জামায়াত পায় ১৭টি আসন। ’৯৬ সালে এককভাবে ভোট করে পেয়েছিল তিনটি আসন। ২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করে নির্বাচনে পেয়েছিল ১৮ আসন। আর ২০০৮ সালে জামায়াত পেয়েছিল দুটি আসন। নির্বাচনে বিএনপির সমর্থনে জামায়াতের অবস্থা একেবারেই খারাপ। অথচ হাসিনার অলিগার্ক জাতীয় পার্টির অবস্থান অনেক ভালো। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে জামায়াতের বিরোধী দল হওয়াই কঠিন, অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় জামায়াত এমন আওয়াজ তুলছে যে, নির্বাচন হলে তারাই ক্ষমতায় যাবে। মাঠের অবস্থা একেবারেই খারাপ। যার জন্য পর্দার আড়ালে বিএনপির কাছে কিছু আসন চায়, যাতে ওইসব আসনে বিএনপি দুর্বল প্রার্থী দিয়ে জামায়াতের সিনিয়র নেতাদের নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু ১৫ বছর ধরে জুলুম-নির্যাতনের শিকার বিএনপি এবার নেতাকর্মীদের চাপেই আসন সমঝোতার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ। যার জন্য গণভোট নিয়ে এমন হাঙ্কিপাঙ্কি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহিদ উর-রহমান জাহিদ বলেছেন, জামায়াতের এবার ব্যাপক ভোট বাড়বে। অতীতে যে আসনে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থীরা ২০ হাজার ভোট পেয়েছেন, এবার সে আসনে হয়তো ৪০ থেকে ৫০ হাজার ভোট পাবেন। জামায়াতের জনসমর্থন বাড়লেও ওইসব আসনে ধানের শীষের প্রার্থীরা এক লাখ বা দেড় লাখ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন। এ বাস্তবতা বুঝেই জামায়াত পর্দার আড়ালে আসন সমঝোতা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এনসিপিকে নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সমন্বয়ক আবদুল কাদের। একইভাবে দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীরা রাত-দিন অবিরাম পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ